মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে নতুন এক দফা শুল্ক আরোপ বিলম্বিত করেছেন, তাতে হয়তো কিছুটা সময়ের জন্য স্বস্তি মিলতে পারে—কিন্তু সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এর মাধ্যমে কোনো বড় পরিবর্তন আসবে না বলে সতর্ক করেছে মর্গান স্ট্যানলির বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প যেসব দেশে আগ্রাসী বাণিজ্য শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছিলেন, তা ৯০ দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিনিয়োগকারীদের জন্য এতে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য পরিকল্পনা এখনো কুয়াশাচ্ছন্ন, বলছেন তারা।
মর্গান স্ট্যানলির কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্টদের মতে, এই ৯০ দিনের বিলম্ব “আলোচনার সুযোগ উন্মুক্ত করছে” ঠিকই, তবে বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সেটা যথেষ্ট নয়। এই পদক্ষেপ কেবল “নীতিগত অনিশ্চয়তার মেয়াদই বাড়াচ্ছে।”
ব্যাংকটির বিশ্লেষকরা আরও যোগ করেন, “ইতিহাস অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে চলা অনিশ্চয়তা ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে, যার ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হয়।”
শুল্ক বিরতির পর এখন কার্যকর মার্কিন শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ২৩%—যা ব্যাংকটির হিসেব মতে, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মর্গান স্ট্যানলি সতর্ক করেছে, চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ঘোষিত ১৪৫% শুল্ক এবং বেইজিংয়ের পাল্টা জবাব একসঙ্গে মিলে “হঠাৎ করে বাণিজ্য প্রবাহ থমকে যেতে পারে।”
১১ এপ্রিল চীন ঘোষণা দেয়, ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে তারা মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫% করবে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, মর্গান স্ট্যানলি আবারও জানিয়েছে, তারা ২০২৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মাঝারি মাত্রার প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে। ব্যাংকটি আশা করছে, ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ পর্যন্ত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে।
*The market analysis posted here is meant to increase your awareness, but not to give instructions to make a trade.