মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন—ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্যের উত্থান, বিশেষ করে তাঁর নামাঙ্কিত মিমকয়েন ‘TRUMP’ থেকে তাঁর কোনো আর্থিক লাভ নেই। কারো কারো হয়তো বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু ট্রাম্পের দাবি—তিনি ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রচারণা চালিয়েছেন নীতির কারণে, লাভের জন্য নয়।

TRUMP কয়েনসহ অন্যান্য ডিজিটাল টোকেন নিয়ে ট্রাম্পের লাভের গুজব তিনি সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এসবের দাম বাড়লেও তিনি তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন না। আগেও তিনি বলেছিলেন, শুধু কোনো অ্যাসেট হাতে রেখে মার্কেটে সাপোর্ট দেওয়া মানেই যে তা থেকে ব্যক্তিগত মুনাফা হচ্ছে—তা নয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটা বেশ কৌশলী আত্মপক্ষ সমর্থন।

যদিও ট্রাম্প নিজের সরাসরি লাভের প্রসঙ্গ সরিয়ে রেখেছেন, তবুও তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রকে “বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী” বানানোর স্বপ্নে বিভোর। তাঁর বিশ্বাস, এই ডিজিটাল অ্যাসেটের জগতে আমেরিকার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, মার্কেটে সাম্প্রতিক ধাক্কার মধ্যেও ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য অনেক ঐতিহ্যবাহী সম্পদের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল থেকেছে। ট্রাম্পের মতে, ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো হতে পারে আমেরিকার অর্থনৈতিক প্রভাবের অন্যতম স্তম্ভ।

তিনি বিশেষভাবে নজর দিয়েছেন ডিজিটাল অ্যাসেট—বিশেষ করে বিটকয়েন—ও মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ওপর। ট্রাম্পের মতে, ক্রিপ্টো ডলারের জন্য হুমকি নয়। বরং, এই খাতের বিকাশ আমেরিকাকে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও নেতৃস্থানীয় অবস্থানে নিতে সাহায্য করতে পারে।

তবে, চীনের দ্রুতগতির ডিজিটাল উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ক্রিপ্টো আর ব্লকচেইনে বেইজিংয়ের অগ্রগতি আমেরিকার প্রযুক্তিগত আধিপত্যের জন্য হুমকি হতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদেরই নেতৃত্বের লাগাম ধরতে হবে।”

তবে এতসব বলার পরেও, ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ক্রিপ্টো নীতির খসড়া দেননি। বিশ্লেষকদের মতে, এতে প্রশ্ন উঠছে—এই বক্তব্যগুলো আদৌ কোনো বাস্তব পরিকল্পনার ইঙ্গিত, না কি নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রিপ্টোপ্রেমী ভোটারদের টানার এক হিসাবি প্রচেষ্টা।

এর আগে ট্রাম্প পরিবারের পক্ষ থেকে চালু হওয়া মিমকয়েন ক্রিপ্টো মার্কেটে ভালোই সাড়া ফেলেছিল। যদিও এখন এটির মূল্য সর্বোচ্চ দাম থেকে কিছুটা নিচে নেমে এসেছে, তবুও ক্রিপ্টো দুনিয়ায় টোকেনটি এখনো আলোচনার মধ্যে রয়েছে।