মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু বৈশ্বিক অর্থনীতিকেই অস্থিতিশীল করেননি, নিজের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন তুলে দিয়েছেন। ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী রে ডালিওর মতে, ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্ক অভিযান আর বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা অস্থিরতার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন অর্থনৈতিক মন্দার কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ডালিও স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা এখন এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আর মন্দাও একদম কাছেই রয়েছে।” তিনি হুঁশিয়ার করে দেন, বাণিজ্য যুদ্ধ চলতে থাকলে মার্কিন অর্থনীতির ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।
এই বিলিয়নিয়ার হেজ ফান্ড ম্যানেজার ব্যাপক শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন, যেটা প্রায় ডজনখানেক দেশের ওপর আরোপিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের কৌশল এখন অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গেছে। মাত্র গত সপ্তাহেই প্রশাসন হঠাৎ করেই কয়েকটি দেশের জন্য ৯০ দিনের শুল্ক বিরতি ঘোষণা করে, যদিও চীন সেই বিরতির বাইরে ছিল।
ডালিও এই পদক্ষেপকে “ধ্বংসাত্মক” হিসেবে অভিহিত করেছেন—এটা নাকি এমন, যেন জটিল প্রোডাকশন সিস্টেমে ইচ্ছে করে পাথর ছুঁড়ে মারা হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই রকম অনিশ্চয়তা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে বিঘ্নিত করছে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ক্ষেত্রে।
শুল্ক ছাড়াও ডালিও আরও বড় ধরনের উদ্বেগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, যেখানে একগুচ্ছ ঝুঁকি একসাথে এসে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন জাতীয় ঋণের বৃদ্ধি, বাজেট ঘাটতির প্রসার, আর ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি। তাঁর মতে, এই প্রবণতাগুলো একসাথে মিলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তিনি সতর্ক করেন, “যদি তা না-ও হয়, তাহলে আমরা একদিকে ঋণের চাহিদা-জোগানের সংকটে পড়ব, আর তার সঙ্গে থাকবে এসব অন্যান্য সমস্যা—এবং এর ফলাফল হবে সাধারণ মন্দার চেয়েও ভয়াবহ।”
ডালিও আরেকটি বড় ধরনের আর্থিক সংকটের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যেটা নাকি ১৯৭১ বা ২০০৮-এর তুলনায়ও ভয়াবহ হতে পারে।
*The market analysis posted here is meant to increase your awareness, but not to give instructions to make a trade.