বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের এখন মাথায় হাত! যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার একগুচ্ছ নতুন শুল্ক বসানোর পর মার্কিন শেয়ারবাজারের দর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার আগে ইউরোপ আর এশিয়ার শেয়ারবাজার তো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আগেই পড়ে গিয়েছিল। এখন তো আর কিছুই বাকি নেই! এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বিশাল বিক্রির ঢেউ বয়ে গেছে, আর বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিও নতুন করে সাজিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজতে শুরু করেছে—মানে সেই পুরোনো ‘সেফ হ্যাভেন’ অ্যাসেটেই ভরসা।
সপ্তাহ শেষে মার্কিন শেয়ারবাজারে সূচকগুলোর অবস্থা বেশ করুণ: S&P 500 সূচক ৪.৭১% হ্রাস পেয়েছে, আর শিল্প খাতের সূচক ডাও জোন্স ৪.৪৪% দরপতনের শিকার হয়েছে।
এই ধসের মূল কারণ ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আর বিনিয়োগকারীদের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া একটি আশংকা—সেই বহুল পরিচিত বিশ্বব্যাপী মন্দার ভয়। বড় এক্সচেঞ্জগুলোতে S&P 500 ৪.৭১% দরপতনের শিকার হয়ে ৪,৮৩৫.১৬ নেমে এসেছে। নাসডাক কম্পোজিট হুড়মুড়িয়ে ৫.১৫% হ্রাস পেয়ে ১৪,৭৮৫.৪৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ৪.৪৪% হ্রাস পেয়েছে, দরপতন থামার আগে ৩৬,৬১৩.১৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
এর আগে এশিয়ার শেয়ারবাজার আরও বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে। MSCI এশিয়া প্যাসিফিক সূচক ৮.৫%, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকে ১৩%–এর বেশি ধ্বস নেমেছে, আর তাইওয়ানের প্রযুক্তি সূচক ৯.৭% হ্রাস পেয়েছে। জাপানের টপিক্স আর নিক্কেই দুটোই ৭.৮% করে হ্রাস পেয়েছে। এর পাশাপাশি অ্যামস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জ ৫.৫% হ্রাস পেয়েছে, আর স্টকহোম ও কোপেনহেগেনের শেয়ারবাজার প্রায় ৭% পতনের শিকার হয়েছে। ৭ এপ্রিল ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক DAX জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জেও ধস নেমেছে।
*The market analysis posted here is meant to increase your awareness, but not to give instructions to make a trade.